বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কার চায় বিশ্বব্যাংক
ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংককে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ব্যাংক খাত সংস্কারে আপাতত সহায়তার প্রয়োজন নেই। ব্যাংক খাতের সংস্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব পন্থায় চলছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ডলার–সংকট ও রিজার্ভ পরিস্থিতি বিশ্বব্যাংকের সামনে তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, ডলারের দাম নির্ধারণ হচ্ছে চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে। এটি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাজারে ডলারের ঘাটতি থাকায় রিজার্ভ থেকে জোগান দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে রিজার্ভ কমে আসছে। বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে আমদানি কমছে। তবে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়ছে। ফলে ডলারের চাহিদা কমছে। সামনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। বৈঠকে সুদহারের সীমা তুলে দেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়।
বিশ্বব্যাংক ধারাবাহিকভাবে সহায়তা দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার ৫০ বছর উদ্যাপন করছে।’
বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, তারা আর্থিক খাতের উন্নতিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আর্থিক সূচকে দুর্বল অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা শুরু করেছে। সংস্কার প্রয়োজন এমন ব্যাংকের তালিকায় আছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল), পদ্মা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। তবে সম্প্রতি অনিয়ম ধরা পড়েছে, এমন ব্যাংকগুলোকে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়নি।