আসছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল

আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সংস্কার ও নীতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করবে প্রতিনিধিদল। এই সফরে আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি/এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি আইএমএফের নতুন উদ্যোগ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশ ঋণসহায়তা পাবে কি না, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে এই ঝুঁকি মোকাবিলায় দীর্ঘ মেয়াদে ঋণসহায়তা দেওয়ার জন্য আরএসএফ গঠন করেছে আইএমএফ।

আইএমএফ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফরে সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা আগামী মাসগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল আগামী বুধবার ১৪ দিনের সফরে ঢাকা আসছে। আইএমএফের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ সফরে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। শুক্রবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে এই ঝুঁকি মোকাবিলায় দীর্ঘ মেয়াদে ঋণসহায়তা দেওয়ার জন্য আরএসএফ গঠন করেছে আইএমএফ।

আইএমএফের শর্তগুলো তুলে ধরে গভর্নর বলেছিলেন, আইএমএফ চায়, বাংলাদেশের রাজস্ব প্রশাসনের আধুনিকায়ন হোক। রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রম গতিশীল হোক। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহের অনুপাত কম। দীর্ঘ বছর ধরে তা ৭ দশমিক ৬ শতাংশে আটকে আছে। এ হার দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া ব্যাংক খাতে বর্তমানে উচ্চ মাত্রার খেলাপি ঋণ। আইএমএফ চায়, এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরুক। প্রাতিষ্ঠানিক (করপোরেট) সুশাসন বলিষ্ঠ হোক।