ইতিমধ্যে রপ্তানিকারকেরা ডলার বিক্রি শুরু করেছেন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর কাছে ইআরকিউর ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার জমা ছিল। বুধবার পর্যন্ত এর মধ্যে থেকে ২৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছেড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। সামনে আরও ১০ কোটি ডলার বিক্রি করতে হবে।

রপ্তানিকারকদের প্রত্যাবাসন কোটার সীমা অর্ধেক কমিয়ে আনায় রপ্তানিকারকেরা ডলার বিক্রি শুরু করেছেন। কেউ আবার আমদানিকারকদের সঙ্গে চুক্তি করেও ডলার বিক্রি করছেন। বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকেরা তাঁদের ইআরকিউ হিসাবে থাকা ডলার ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করছেন। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।

রপ্তানিকারকেরা ৯৮ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ডলার বিক্রি করছেন। ব্যাংক তা কিনে কিছুটা বেশি দামে আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করছে। যেসব আমদানিকারক সরাসরি কিনতে পারছেন, তাঁরা কিছুটা কম দামে ডলার পাচ্ছেন।

রপ্তানিকারকদের ইআরকিউ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমার পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পোশাক খাতের রপ্তানিকারকেরা ১৫ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ৭ শতাংশ, সেবা খাতের রপ্তানিকারকেরা ৬০ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ এবং আইসিটি খাতের উদ্যোক্তারা ৭০ শতাংশের পরিবর্তে ৩৫ শতাংশ ডলার ইআরকিউ হিসাবে রাখতে পারবেন।

দেশে জ্বালানি তেল ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে সার্বিকভাবে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে বেড়ে গেছে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির দাম। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতি ডলারের দাম ৯৪ টাকার মধ্যে থাকলেও প্রবাসী আয় ও পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার একসঙ্গে চারটি সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, সেগুলো হলো ব্যাংকের ডলার ধারণের সীমা (এনওপি) হ্রাস, রপ্তানিকারকের প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) ধারণকৃত ডলারের ৫০ শতাংশ নগদায়ন, ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখার সীমা কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিটে স্থানান্তর। এ ছাড়া ৫০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের বেসরকারি যেকোনো আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ফলে সংকট কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।