ইসলামী ব্যাংকের শতকোটি টাকার বেশি ঋণের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে

ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দলের নির্ধারিত সময়সূচি গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তবে ব্যাংকটি পরিদর্শনে যে পরিস্থিতি ধরা পড়েছে, তাতে ওই সময়ে পরিদর্শন শেষ করতে পারেনি। এ জন্য পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন কর্মকর্তারা, এবার কোনো নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়নি।

পরিদর্শক দলের কর্মকর্তারা আলোচনায় থাকা সব ধরনের কোম্পানির ঋণের হিসাব খোলার বিবরণী থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করছেইসলামী ন। পাশাপাশি ১০০ কোটি টাকার বেশি যত ঋণ দেওয়া হয়েছে, তাদের তথ্য চেয়েছে। ১০ কোটি টাকার বেশি পে–অর্ডারের মাধ্যমে যেসব টাকা বের করা হয়েছে, তারও নথি চেয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শন করবেন কর্মকর্তারা।  

পরিদর্শন শেষ না হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুখ খুলতে চাইছে না। এ জন্য সংস্থাটির মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ।

দেশে আর্থিক খাতে এখন যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার মূল কারণ হিসেবে বৈশ্বিক ঘটনাকে দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, করোনার প্রভাব আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এ খাতের সমস্যা তৈরি করেছে। কিন্তু অনেক আগে থেকেই আর্থিক খাতে তিনটি সমস্যা বিদ্যমান। প্রথমত, স্বচ্ছতা; দ্বিতীয়ত, সুশাসন ও তৃতীয়ত, সক্ষমতার অভাব। এসব সমস্যা পুঞ্জীভূত হয়েই মূলত বর্তমান সমস্যা তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের একটি কর্ম–অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী দিনের শেষ ভাগে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত তিনটি বইয়ের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার মূল আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন বিআইডিএসের তিন সাবেক মহাপরিচালক কাজী শাহাবুদ্দিন, মোস্তফা কে মুজেরি এবং কে এ এস মুর্শিদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেচক্লাইট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মোজাম্মেল হক।