ডলারের দাম উঠেছে ১০২ টাকায় 

বর্তমানে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগের পরও দেশে ডলারের সংকট কাটেনি। আর কোনো ব্যাংক ডলারপ্রতি ১০১ টাকা দিয়েও প্রবাসী আয় পাচ্ছে না। ফলে সংকট কমার পরিবর্তে আরও বেড়েই চলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের ফলে অনেক রপ্তানিকারক তাঁদের রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) রাখা বিদেশি মুদ্রা বিক্রি করছেন। ব্যাংকগুলো এই ডলার কিনে আমদানি দায় শোধ করছে। একইভাবে অনেক ব্যাংকও নিজেদের কাছে রাখা ডলারও বিক্রি করছে। এরপরও সংকট কাটছে না।

চীন থেকে প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানিতে তাঁর কাছে প্রতি ডলার ১০১ টাকা ৫০ পয়সা দাম ধরা হয়েছে। আরেকজন জানান, মেডিকেল সরঞ্জামের কাঁচামাল আমদানিতে গত সোমবার তাঁর কাছে প্রতি ডলারের দাম ধরা হয়েছে ৯৯ টাকা ৯০ পয়সা।

 

 

এদিকে ডলার-সংকট মেটাতে সরকারি আমদানি দায় পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। এতে  প্রতি ডলারের দাম ধরা হয়েছে ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

ঈদের পর প্রবাসী আয়ের গতি মন্থর হয়ে পড়েছে। ঈদের পরে সাধারণত এমনটাই হয়ে থাকে। এ ছাড়া বেতন-বোনাস দিতে রপ্তানিকারকেরা ঈদের আগেই বিল নগদায়ন করে ফেলেছেন। এই কারণে বিদেশি মুদ্রায় তেমন আয় নেই। অন্যদিকে আমদানি থেমে নেই। ফলে নানা উদ্যোগের পরও সংকট কাটছে না।

গত বৃহস্পতিবার একসঙ্গে চারটি সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার-সংকট নিরসনে । সেগুলো হলো ব্যাংকের ডলার ধারণের সীমা (এনওপি) হ্রাস, রপ্তানিকারকের প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) ধারণকৃত ডলারের ৫০ শতাংশ নগদায়ন, ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখার সীমা কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিটে স্থানান্তর। দেশে জ্বালানি তেল ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে সার্বিকভাবে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। আবার রপ্তানি বাড়লেও তা আমদানির তুলনায় কম। প্রবাসী আয়ও বাড়েনি, বরং তা কমেছে। ফলে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। যার ফলে বেড়ে গেছে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির দাম, ডলারের দাম ৯৪ টাকার মধ্যে থাকলেও প্রবাসী আয় ও পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।