নীতিমালার পক্ষে এবিবির সাফাই

বর্তমান গভর্নর যোগ দেওয়ার পর নানামুখী সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। অনেকগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন দেশের অনেক সংস্থার মধ্যে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এর সবই সম্ভব হয়েছে বর্তমান গভর্নরের সক্রিয় কর্মকাণ্ডের ফলে।

ডলার বাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, আস্থার সংকটে ডলারের বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। এখন আস্থা ফেরাতে হলে   আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেটি কার্যকর করতে হবে। ব্যাংকগুলো যদি ওই দামে লেনদেন করতে পারে, তাহলে বাজারের অস্থিরতা কমে আসবে। তাতে দুই সপ্তাহের মধ্যে ডলারের বাজার স্থিতিশীল করা সম্ভব হবে।

তবে চাপে পড়েছে ছোট ব্যাংকগুলো, যাদের প্রবাসী আয় কম। তাই এসব ব্যাংককে বেশি দামে ডলার কিনে ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে হচ্ছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আমদানিকারকদের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও চাপে পড়ছে। কোনো চাপে এ সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে এবিবি চেয়ারম্যান বলেন কোনো ধরনের চাপে নয়, দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে ব্যাংক খাতের চলমান বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছি। যাতে সবার কাছে ব্যাংক খাত নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকে সাথে ঋণ পরিশোধে পাবেন দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা। আর সবচেয়ে খারাপ হবে ব্যাংকের জন্য। বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর সম্পদ ও দায়ে অসামঞ্জস্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। তা আরও প্রকট হবে। ব্যাংকগুলোর কাছে এক বছরের বেশি মেয়াদি তহবিল নেই। এ ব্যাংকগুলোকে এখন খেলাপি গ্রাহকদের বাড়তি ছয় থেকে আট বছর সময় দিতে হবে। ফলে তারল্য সমস্যায় পড়বে অনেক ব্যাংক। যার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে ও কর্মসংস্থানে।