বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন

দেশের ভেতরে দেশীয় মুদ্রায় এক লাখ ও এর বেশি অঙ্কের টাকা তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আরটিজিএস ব্যবস্থা চালু করে। গতকাল এই ব্যবস্থায় বিদেশি মুদ্রা তাৎক্ষণিক লেনদেন সেবা চালু হয়েছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের ভেতরে মার্কিন ডলার, পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরো, জাপানি ইয়েন, কানাডীয় ডলারের আন্তব্যাংক নিকাশ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিগগির এতে যুক্ত হবে চীনের ইউয়ান।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রথম দিনেই বৈদেশিক মুদ্রায় ৫২টি লেনদেন নিষ্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রার তাৎক্ষণিক লেনদেন সেবার উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীসহ খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এখন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি হবে। বিদেশি মুদ্রায় যেকোনো পরিমাণ লেনদেন এতে নিষ্পত্তি করা যাবে। যদিও দেশীয় মুদ্রায় এক লাখ টাকার বেশি নিষ্পত্তি করা যায়। ব্যাংকাররা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার তাৎক্ষণিক লেনদেন সুবিধা চালুর ফলে ব্যাংকগুলো প্রয়োজনমতো বৈদেশিক মুদ্রা দিনে দিনে ব্যবহার করতে পারবে। প্রয়োজন অনুসারে বেড়ে যাবে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার। এক দিনেই একই মুদ্রা কয়েক ব্যাংকের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, এই ব্যবস্থা চালুর ফলে দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

এ পদ্ধতিতে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য একটি বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব খুলতে হবে। এখান থেকে কেবল ডলারের বিপরীতে ডলার, ইউরোর বিপরীতে ইউরো লেনদেন নিষ্পত্তি করা যাবে। এক মুদ্রার বিপরীতে অন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিষ্পত্তি করা যাবে না। একটি লেনদেনে ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা মাশুল নিতে পারবে। বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগ শাখা আরটিজিএসের সঙ্গে