ব্যাংকমালিকেরা গাড়ি–বাড়ির ঋণে

সুদ বাড়াতে চাচ্ছেন

ব্যাংকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ব্যাংকঋণের সুদহার একক অঙ্কে নামিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল । বিলাশপন্য উৎপাদন ও আমদানি, ঋণ এবং গাড়ি, বাড়ি ব্যক্তিগতসহ বিভিন্ন ভোক্তাঋণে ৯% সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। সেই সাথে ৯ শতাংশ সুদহার তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। উৎপাদনশীল খাত বাদে বিলাসপণ্য উৎপাদন ও আমদানি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ এবং গাড়ি, বাড়ি, ব্যক্তিগতসহ বিভিন্ন ভোক্তাঋণে সুদহারের সীমা তুলে দিতে বলেছেন ব্যাংকমালিকেরা। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করে বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ সংগঠনটির নেতারা এই দাবি তুলেছেন।

তার সঙ্গে ঋণখেলাপিদের জন্য দেওয়া গণসুবিধাকে সময়োপযোগী বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। ব্যাংকের আর্থিক প্রবাহ ঠিক রাখতে ও দেশের শিল্প বাণিজ্যের গতি সচল রাখতে এই সুবিধা প্রশংসার দাবিদার বলে এক চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিএবি। বিএবির চাপে এর আগে ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। বিভিন্ন নীতিমালা স্থগিত ও পরিবর্তনও করা হয়েছে। তাই তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সুদহারের সীমাও তুলে দেওয়া হতে পারে।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ঋণের সুদ সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক । তাতে আমানতের সুদহারও কমে যায়। একপর্যায়ে আমানতের সুদহার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এলে বাংলাদেশ ব্যাংক মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে সুদহার গড় মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হবে না বলে জানিয়ে দেয়। ফলে ব্যাংক আমানতের সুদহার কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু ঋণের সুদ বাড়াতে পারছে না ব্যাংকগুলো।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সব ধরনের ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে বলে বিএবির চিঠিতে বলা হয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য এটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ছিল।  ঋণের সুদহারের সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে ব্যাংকগুলো আয় ঠিক রাখতে আমানতের সুদও কমিয়ে দেয়। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে আমানতের সুদহার বৃদ্ধি না করলে ব্যাংকগুলো নতুন আমানত পাবে না। তাই ক্ষেত্রবিশেষে ঋণের সুদেরহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, যাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ থেকে অর্জিত আয় বৃদ্ধি পায় এবং আমানতের জন্য অধিক সুদ প্রদান করতে পারে।