ব্যাংক ডলার কেনাবেচা করবে এক দামে

বাংলাদেশ ব্যাংক নানা সিদ্ধান্ত নিলেও ডলার–বাজারের সংকট মেটেনি। এবার ঠিক হয়েছে ব্যাংকগুলো নিজেই ডলারের দাম নির্ধারণ করবে।বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে হয়েছে ৩,৭০৬ কোটি ডলার।মজুত সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪,৮০০ কোটি ডলার।গতকালও আমদানিতে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা পর্যন্ত।প্রবাসী আয় এসেছে ১১২ টাকা পর্যন্ত দামে।

 

 

ব্যাংকগুলো নিজেই এই দাম নির্ধারণ করবে। প্রবাসী ও রপ্তানি আয়, আমদানি বিল নিষ্পত্তিসহ প্রতিটি লেনদেনে ডলারের দাম হবে পৃথক। তবে সব ব্যাংক প্রতি লেনদেনেই একই দামে ডলার কেনাবেচা করবে। আর কেনাবেচায় মুনাফা হবে সর্বোচ্চ এক টাকা।

ডলারের এই দাম নিয়মিত ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যবেক্ষণ করবে ও নিয়মিত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে তথ্য–উপাত্ত বিনিময় করবে। ডলারের সংকট ও বাজারের অস্থিরতা কাটাতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলারের দাম ৯৫ টাকা কোথায় থাকবে, সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সভা হয়। সভায় এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের সভাপতিত্ব ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানসহ এবিবি ও বাফেদার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষ পর্যায়ে যোগ দেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এবিবির পক্ষে চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, বাফেদার পক্ষে চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিমসহ দুই সংগঠনের কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভও গতকাল আরও কমেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১৭৩ কোটি ডলারের বিল পরিশোধের পর গতকাল রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭০৬ কোটি ডলার। গত বছরের শেষের দিকে রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার পর্যন্ত উঠেছিল।