ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন

গত কয়েক দিনে দফায় দফায় কমেছে পাউন্ডের দর, প্রতিবারই সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে, ৩৭ বছরের মধ্যে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন। আজ সোমবার আবারও দরপতন হয়েছে এই মুদ্রার। ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দরপতন চলছেই। ব্রিটিশ সরকারের ঋণ গ্রহণের হার বেড়ে গেছে। এর মধ্যে বাজারের আশঙ্কা, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড দ্রুত জরুরি বৈঠক আহ্বান করে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করবে।

 

এক পাউন্ডের বিপরীতে ১ দশমিক ০৩ ডলার মিলেছে, যদিও এরপর পাউন্ডের দর কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ০৮ ডলার।

pound

লিজ ট্রাসের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর মিনি বাজেট ও বড় ধরনের কর ছাড় দেওয়া হলো গত শুক্রবার। একই সঙ্গে সেদিন ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ডের ভর্তুকি প্যাকেজ দিয়েছে সে দেশের সরকার। এই অর্থায়ন করতে নতুন সরকারকে বিপুল পরিমাণ ঋণ করতে হবে। তাতে মানুষের সুবিধা হলেও পাউন্ডের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে। ফলাফল—পাউন্ডের দরপতন।

অর্থনীতিবিদদের ধারণা, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ মাসেই নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে পাউন্ডের দরপতন থামানোর চেষ্টা করবে। এর মধ্য দিয়ে মূল্যস্ফীতির রাশ টানার চেষ্টা করবে তারা। গত সপ্তাহেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এক দফা নীতি সুদহার বৃদ্ধি করেছে, যা ছিল এ নিয়ে টানা সাতবার এবং তাতে নীতি সুদহার এখন ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে নীতি সুদহার আরেক দফা বৃদ্ধি করা হলে লাখ লাখ মানুষের মাসিক বন্ধকি ঋণ পরিশোধের হার বেড়ে যাবে।

এদিকে পাউন্ডের দরপতন হওয়ায় বাংলাদেশের মতো যুক্তরাজ্যের আমদানি ব্যয়ও বেড়ে যাবে অর্থাৎ যেসব পণ্য ডলারে আমদানি করতে হয়, সেগুলোর দাম বেড়ে যাবে। অন্যদিকে ব্রিটিশ পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে বেড়াতে গেলে তাঁদের মুদ্রার বিনিময়ে স্থানীয় মুদ্রা কম পাবেন।

Gynaecologist London

Harley Street Gynaecology