ডলার সংকট কি তবে কেটে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে!

এ নিয়ে মুদ্রাবাজারে বাড়ছে অস্থিরতা!

 

ডলারের চাহিদার চেয়ে জোগান কমে যাওয়ার সংকট থেকে দাম বেড়ে গেছে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। এ জন্য আগে চাহিদা কমাতে হবে। এতে আমদানি খরচ কমবে। তাহলেই চাহিদা ও জোগানের মধ্যকার পার্থক্য কমে আসবে। আমদানি কমাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে এ ণিয়ে সংকট নিরসনের দিক বিবেচনা করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে সংকট কেটে যেতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের মুখে আছে ব্যাংক খাত, আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। কিন্তু রপ্তানি বাড়লেও তা পরিমানে আমদানির তুলনায় কম।

 

 

  • গত অর্থবছরের জুলাই-মে মোট ১১ মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ডলার।

 

  • জুলাই-জুন সময়ে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার এবং সাথে প্রবাসী আয় হয়েছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার।

 

 

রপ্তানির তুলনায় আমদানি কম সেই হিসেবে প্রবাসী আয়ও বাড়েনি যার ফলে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। যার ফলে বেড়ে গেছে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার দাম। আনুষ্ঠানিকভাবে ডলার প্রতি দাম ৯৪ টাকার মধ্যে থাকলেও প্রবাসী আয় ও পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

অনেক দেশ সংকটে পড়ে গেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই। কারণ, আমরা মূলত আমদানি নির্ভর দেশ। এ জন্য এখন অতি সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে ডলার খরচের বিষয়ে, সেটা সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়াচ্ছে। এতে ডলার-সংকট কেটে যাবে কি না, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যাংক খাতে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রহমান “প্রথম আলো” কে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও আমদানি কমবে। তবে যেভাবে আমদানি খরচ বেড়েছে, তাতে এসব উদ্যোগে বড় কিছু না। ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে, তাতে বৈধ পথে আয় বাড়বে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে উদ্যোগ হবে।