শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ৬০% দিতে হবে ব্যাংকের সিএসআরের

করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা মুনাফার একটি অংশ (সিএসআর) খাতে খরচ করে দেশের ব্যাংকগুলো। বিশেষ খাতে বা তহবিলে দিয়ে দিচ্ছে অনেক ব্যাংক এই খাতের জন্য বরাদ্দ করা অর্থের পুরোটা | তার ফলে এর সুফল পাচ্ছেন না সিংহভাগ জনগোষ্ঠী। এ জন্য সিএসআরের অর্থ যাতে দেশের টেকসই খাতে ব্যবহার হয়, এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে এ জন্য | খোন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত’’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নেগঠিত এতৃত্বে কটি কমিটি এই নীতিমালা প্রস্তুত করে। এই নীতিমালা মেনে খরচ না করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মজবুত রেটিংয়ে প্রভাব পড়বে বলে বলা হয়েছে।

সিএসআর খরচের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, ২০ শতাংশ পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ও ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হবে, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী| বাকি অর্থ আয় উপযোগী উদ্যোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধুলা ও বিনোদন খাতে খরচ করা যাবে। বাইরের ব্যাংকগুলো ও চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের তহবিলে সিএসআরের অর্থ দিতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে , এই নীতিমালায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের কোন উপখাতে খরচ করা যাবে |

কোন খাতে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না, তা–ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শিশুশ্রমে আছে এমন খাত, সামাজিক মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকর ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ও বিনোদন অনুষ্ঠানে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না, তা নীতিমালায় বলা হয়েছে ।
পাশাপাশি ব্র্যান্ডিং ও বিজ্ঞাপনে সিএসআরের অর্থ ব্যায় করা যাবে না।
নিট মুনাফার অর্থ সিএসআরে খরচ করা যাবে , কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায় । পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলো নিজেদের মুনাফার পাশাপাশি বিদেশি কার্যালয়ের অনুদান, ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো জাকাতের টাকা ও সন্দেহজনক আয় সিএসআর খাতে খরচ করতে পারবে। এ ছাড়া ব্যাংক নিজে না পারলে ফাউন্ডেশন বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সিএসআর খাতে ব্যায় করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক করোনার কারণে ব্যাংকগুলোকে সিএসআর খাতের ৫০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে খরচের নির্দেশনা দেয়| গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশের ব্যাংকগুলো ৪৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা সিএসআর ব্যয়ের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতেই ব্যয় করে ২৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

আগে ব্যাংকগুলোর সিএসআর খরচের জন্য শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন, ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন। ফলে সারা দেশের মানুষ এর সুফল পেতেন। এখন আর সেটা পাচ্ছেন কি না দেখা যাচ্ছেনা