সমান সুবিধার দাবি জানিয়েছেন সকল ঋণগ্রহীতা

 

তিন দিন আগে খেলাপি ঋণ ঠেকাতে বড় ছাড় দিয়ে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালার ফলে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন আড়াই থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে। আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। এখন পাঁচ থেকে আট বছরে ঋণ পরিশোধ করা যাবে।

ঋণখেলাপিদের সুবিধা দেওয়ায় অন্য সব ছোট-বড় ঋণগ্রহীতার জন্যও এমন সুযোগ চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে চিঠি দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তিনি বলেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতকে স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই নীতিমালা অত্যন্ত সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এই চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমরা মনে করি, সব শ্রেণির ঋণগ্রহীতার জন্য সমসুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।’ এ জন্য ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনে ছোট ও বড় সব শ্রেণির ঋণগ্রহীতাদের জন্য মেয়াদি, চলমান ও তলবি ঋণসহ সব ক্ষেত্রে গ্রেস সর্বোচ্চ মেয়াদ ৮ বছর নির্ধারণের অনুরোধ করেন তিনি। একই সঙ্গে ছোট-বড় সবার জন্য ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনে ন্যূনতম এককালীন জমা আড়াই শতাংশ করার প্রস্তাব দেন জসিম উদ্দিন।

BB

জসিম উদ্দিন চিঠিতে আরও বলেছেন, ‘করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটকে বিবেচনায় নিয়ে ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধা শর্তসাপেক্ষে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীদের ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হওয়ায় তাঁদের শর্ত সাপেক্ষে সুবিধাটি নেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে। চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ায় আব্দুর রউফ তালুকদারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান জসিম উদ্দিন। তিনি লেখেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে আপনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। গভর্নর হিসেবেও আপনি সফল হবেন বলে আশা জানিয়েছেন।’