সরবরাহ খাতে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে

অ্যাজিলিটি লজিস্টিকস ৫০টি দেশের সরবরাহ খাত নিয়ে একটি সূচক তৈরি করেছে এতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯তম এই তালিকার শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। এমনকি এশিয়ার অপর দুই দেশ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়েও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে ‘বাংলাদেশের সরবরাহ খাত: সুযোগ ও উদ্বেগ’ শীর্ষক এক নীতিসংলাপের আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)। সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয় । তিনি বলেন, অ্যাজিলিটি সরবরাহ সূচকের চারটি আলাদা উপসূচকেও বেশ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সরবরাহব্যবস্থার সক্ষমতায় ২০তম অবস্থানে, আন্তর্জাতিক সরবরাহ সক্ষমতায় ৪১তম অবস্থানে, সরবরাহ ব্যবসার মৌল ভিত্তির উপসূচকে ৪৪তম অবস্থানে ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় ৩৪তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

 

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে, এ অবস্থায় দেশে গতিশীল সরবরাহ খাত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সরবরাহ খাত উন্নত হলে বন্দরগুলোয় পণ্যজট কমার পাশপাশি বৈশ্বিক বাজারে বাণিজ্যের পরিমাণ ও রপ্তানিবৈচিত্র্য বাড়বে সাথে  বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি আগ্রহী হবে এ দেশে বিনিয়োগ করতে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাকে পরিবহন খরচ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যয় ১৫ শতাংশ কমানো গেলে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ রপ্তানি আয় বাড়তে পারে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৯টি মন্ত্রণালয় ও ২০টি সরকারি সংস্থা সরবরাহ খাতের নীতি ও পরিষেবা নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া সরবরাহ খাত নিয়ে জাতীয় নীতিমালা নেই। এ কারণে এই খাতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। এ জন্য সরবরাহ খাতে নিয়মিত তদারকি বাড়ানো, সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের তাগিদ দেওয়া উচিত। পাশাপাশি বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরের কাছাকাছি জায়গায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত সরবরাহ পরিষেবা ও হিমাগার–সুবিধা চালু করার দরকার আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।