গত ২০মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রিজার্ভ

ভারতের

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান দিয়ে যার সূচনা হয়েছিলো, এরপর যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম। এখন আরও যুক্ত হতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ শক্তি ভারতের নাম।

১৫ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭৫০ কোটি ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭২ বিলিয়ন বা ৫৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৫৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এরপর ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৬৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে রিজার্ভ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি ডলার বাজারে ছেড়েছে। তার ফলে রিজার্ভ এতটা কমেছে।

ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় রুপির দাম ক্রমেই নিম্নমুখী। গত বৃহস্পতিবার তা নতুন নজির গড়েছে, এক ডলারের মূল্য ৮০ রুপি পেরিয়ে দিনের একসময় রুপির দাম কমে প্রতি ডলার দাঁড়ায় ৮০ দশমিক শূন্য ৬ এরপর রুপির দাম আবার বৃদ্ধি পায়।

আরও ধারনা করা যাচ্ছে,আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় রুপির দরপতন হচ্ছে ক্রমাগত। মূলধনী বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চলে যাওয়াও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক। এই বছর রুপির হয়েছে ৭ শতাংশ। এই ক্রমাগত পতন রোধ করতে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা এক–ষষ্ঠাংশ বিক্রি করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পদক্ষেপ পতনে কিছুটা হলেও রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে। যদিও তাতে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার অনেকটা কমেছে।